January 8, 2025, 9:51 pm
এস মিজানুল ইসলাম, বিশেষ সংবাদাতা: বানারীপাড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংশ্লিস্ট এলাকায় না থাকার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য কৃষকরা দারুণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকার কৃষকরা অভিযোগ করেন, উপজেলার সৈয়দকাঠী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার দে তিনি বাওয়ালিয়া ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন। সপ্তাহে চার দিন ওই এলাকায় কৃষকদের সাথে কৃষি সম্পর্কিত যোগাযোগ এবং পরামর্শ করার কথা থাকলে ও তিনি কর্মক্ষেত্রে থাকেন না। তবে কয়েকটি কৃষি প্রদর্শনীর জন্য জমি বেশি দেখিয়ে অর্ধেকের সার, বীজ ও কীটনাশক ব্যবহার করে। অতিরিক্ত সার, বীজ ও কীটনাশক এলাকার মধ্যস্বত্যদের মাধ্যমে ভাগ বাটোয়ারা করে করেন।
সৈয়দকাঠীর একই এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তিনি তার কর্ম এলাকায় থাকেন না। শুধু এলাকায় মনিটরিং থাকলে তখন এলাকায় থাকেন।
উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তিনি পশ্চিম মলুহার ব্লকের দায়িত্বে কাজ করার কথা থাকলেও তিনি এলাকায় যান না। তিনি উজিরপুরের গুঠিয়ায় ঔষুধ ফার্ম্মেসীর ব্যবসা করেন। তাও অফিস সময়ে। একই ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি নারী কর্মকর্তা তিনি বরিশাল শহরে থাকেন। মাসে দু’এক দিন যখন মনিটরিং পরে সেদিন থাকেন।
উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ২৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। পৌরসভায় রয়েছেন একজন। বিশারকান্দি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পোস্ট শূন্য রয়ছে। তাদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে নির্ধারিত অফিস কক্ষ রয়েছে। এর পরও উপস্থিত থাকে না।
কৃষকদের এ অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সহকারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তনয় সিং জানান, কৃষকদের অভিযোগ সম্পূর্ণ সঠিক নয়। আমার পরিদর্শনে তাদেরকে এলাকায় পাওয়া যায়। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে ইতিপূর্বে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে আমরা বিষয়টি দেখব।#